দীর্ঘ উত্তেজনার পর অবশেষে গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে, চুক্তি অনুযায়ী সেনা প্রত্যাহারের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে এবং নতুন অবস্থানে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে—গাজায় মানবিক সহায়তা এখন থেকে কোনো বাধা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারবে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা, অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। আইডিএফের এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের সেনারা এখন নির্ধারিত সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছে এবং তারা যে কোনো অপ্রত্যাশিত হামলা বা হুমকির জবাব দিতে প্রস্তুত থাকবে।
এই চুক্তির অধীনে ইসরায়েল ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অবশিষ্ট সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করবে, অপরদিকে হামাসকে প্রায় ১,৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দিতে হবে। সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত। তবে বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া কোথায় ও কখন হবে—তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
চুক্তির ঘোষণা আসার মাত্র ১২ ঘণ্টা আগেই ইসরায়েল জানায়, তারা যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিমুক্তি শর্তে সম্মত হয়েছে। এর পরপরই সেনারা গাজা উপত্যকার ভেতর থেকে সীমান্তের নির্ধারিত অবস্থানে ফিরে যায়। কিছুক্ষণ পর আইডিএফ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন ঘোষণা করে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা ইতিহাসের এক মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছি।” যুদ্ধবিরতির পর গাজা ও ইসরায়েল উভয় দিকেই মানুষজন স্বস্তি প্রকাশ করে ও উদযাপনে মেতে ওঠে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা সমন্বয় ও সহায়তার জন্য ২০০ সেনা পাঠিয়েছে, যদিও তারা গাজার ভেতরে প্রবেশ করবে না। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো সীমান্তে সহায়তা পাঠানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, এটি যদিও তাৎক্ষণিক শান্তির ইঙ্গিত দেয়, দীর্ঘমেয়াদি সমাধান এখনো অনিশ্চিত। ভবিষ্যৎ আলোচনায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভূমিকা হবে মূল বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু।











