বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে ১৫টি বিতর্কিত ক্লাবের কাউন্সিলররা অংশ নিতে পারবেন না। হাইকোর্ট এই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরদের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। ফলে আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তারা ভোট প্রদান বা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
এই রুলের মাধ্যমে আদালত জানতে চেয়েছে, কেন এই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরদের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বৈধ বা অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এই আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি সৈয়দ হাসান যুবায়িরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জহুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহা. এরশাদুল বারি খন্দকার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কমরুদ্দীন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শারমিন হামিদ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহা. এরশাদুল বারি খন্দকার জাগো নিউজকে এ বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, দুদকের ‘অভিজারবেশন’ থাকায় প্রথমে বিসিবির নির্বাচন কমিশন ওই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেনি। পরে নির্ধারিত কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর পুনরায় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এই ১৫ ক্লাব হলো— এক্সিউম ক্রিকেটার্স, ঢাকা ক্রিকেট একাডেমী, মোহাম্মদ ক্রিকেট ক্লাব, নবাবগঞ্জ ক্রিকেট কোচিং একাডেমী, পূর্বাচল স্পোর্টিং ক্লাব, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব, ওল্ড ঢাকা ক্রিকেটার্স, ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমী, বনানী ক্রিকেট ক্লাব, নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স, মহাখালী ক্রিকেট একাডেমী, ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব, প্যাসিফিক ক্রিকেট ক্লাব, স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাব ও আলফা স্পোর্টিং ক্লাব।
এই ক্লাবগুলো থেকে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর ইতোমধ্যে ক্লাব ক্যাটাগরিতে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে আদালতের নির্দেশনার কারণে তারা এখন বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।











