বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে পাকিস্তানে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। বেলুচিস্তান ও পাকিস্তানকে আলাদা সত্তা হিসেবে উল্লেখ করায় তার বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে এই কঠোর পদক্ষেপ। সালমানকে এখন পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আইন ১৯৯৭–এর অধীনে ‘সিডিউল–৪’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা দেশটির অভ্যন্তরে এক ধরনের “ব্ল্যাকলিস্ট” হিসেবেই পরিচিত।
ভারতীয় গণমাধ্যম মিড-ডে জানিয়েছে, পাকিস্তানের এই ‘সিডিউল–৪’ তালিকায় সাধারণত সন্ত্রাসবাদে জড়িত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নাম থাকে। সেখানে বলিউডের শীর্ষ তারকার নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়া পাকিস্তানে যেমন আলোচনার ঝড় তুলেছে, তেমনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ঘটনাটি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
ঘটনার সূত্রপাত হয় সৌদি আরবের রিয়াদে আয়োজিত ‘জয় ফোরাম ২০২৫’ থেকে। মধ্যপ্রাচ্যে ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয়তা নিয়ে আয়োজিত সেই আলোচনায় এক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ খান, আমির খান ও সালমান খান। সেখানে সালমান বলেন—
“এখন যদি সৌদি আরবে কোনো হিন্দি ছবি মুক্তি পায়, সেটা সুপারহিট হবে। এখানে বেলুচিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান—অনেক দেশ থেকে মানুষ এসে কাজ করছে।”
এই মন্তব্যে পাকিস্তানের সরকারি মহল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা দেয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। তাদের অভিযোগ, সালমান খানের বক্তব্যে বেলুচিস্তানকে ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, যা পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী।
অন্যদিকে ভারতের অনেক নেটিজেন ও বলিউড বিশ্লেষক দাবি করছেন, সালমান খানের বক্তব্য “ইচ্ছাকৃত নয়” এবং সেটিকে ‘ভুলভাবে ব্যাখ্যা’ করা হচ্ছে। তারা মনে করেন, অভিনেতা কেবল সৌদি আরবে কর্মরত দক্ষিণ এশীয় জনগোষ্ঠীর বহুমাত্রিক উপস্থিতি বোঝাতে চেয়েছিলেন।
তবে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রশ্ন বলে মনে করছে। তাই সালমান খানের বিরুদ্ধে ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার স্বার্থে’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দেশটির প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, সালমান খানের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।











