ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের জামিন বাতিল করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান। রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে এ আদেশ দেন আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জানান, সম্রাটের ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ সংক্রান্ত আদেশ বাতিলের আবেদন করা হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, জামিনে থেকে সম্রাট পুনরায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত হয়েছেন। এছাড়া তিনি আদালতের অনুমতি ছাড়াই বিদেশে চলে গেছেন। শুনানি শেষে আদালত তার হাজিরা মওকুফ ও জামিন উভয়ই বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
একই আদেশে আদালত আরমানের জামিনও বাতিল করেন, কারণ তিনি বারবার আদালতে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রমনা মডেল থানায় সিআইডির উপপরিদর্শক রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, কাকরাইলের ‘মেসার্স হিস মুভিজ’-এ বসে সম্রাট মতিঝিল, ফকিরাপুল, কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকায় অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করতেন এবং উপার্জিত বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করতেন।
তদন্তে জানা যায়, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সম্রাট ৩৫ বার সিঙ্গাপুর, তিনবার মালয়েশিয়া, দুইবার দুবাই ও একবার হংকং সফর করেন। একই সময়ে আরমান সিঙ্গাপুরে যান ২৩ বার।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, অস্ত্র ও বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর মাদক ও অস্ত্র আইনে আলাদা দুটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
বর্তমানে ঢাকার দুটি দায়রা জজ আদালতে সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলার বিচার চলছে, আর দুদকের করা জানামতে-আয়বহির্ভূত সম্পদ মামলাটি বিচারাধীন।










