ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় জুমার নামাজের সময় একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর কেল্লাপা গাডিং এলাকার একটি স্কুল কমপ্লেক্সের ভেতরে অবস্থিত মসজিদে।
জাকার্তা সিটি পুলিশ প্রধান আসেপ এদি সুহেরি জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে কেউ কেউ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আহতদের অধিকাংশের শরীরে কাঁচের আঘাত পাওয়া গেছে।
তদন্তে সন্দেহভাজন এক যুবক
বিস্ফোরণের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়, তবে পুলিশ বলছে এটি পরিকল্পিত আক্রমণও হতে পারে। এ ঘটনায় ১৭ বছর বয়সী এক যুবককে ‘সন্দেহভাজন অপরাধী’ হিসেবে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
ইন্দোনেশিয়ার ডেপুটি হাউস স্পিকার সুফমি দাসকো আহমদ হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে বলেন, “সন্দেহভাজন যুবকটির অস্ত্রোপচার চলছে। আমরা আশা করছি দ্রুত সুস্থ হয়ে সে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে পারবে।”
আহতদের অবস্থা ও সহায়তা কেন্দ্র
পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণের পর পরই ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। আহতদের দ্রুত বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আসেপ বলেন, “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫৫ জন আহত হয়েছেন—কেউ সামান্য, কেউ মাঝারি ধরনের আঘাত পেয়েছেন। কয়েকজনকে চিকিৎসার পর ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট। জাকার্তা পুলিশ ‘ক্রাইম সিন’ প্রক্রিয়াকরণ শুরু করেছে, যাতে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ নির্ধারণ করা যায়।
পুলিশ জানায়, আত্মীয়স্বজনদের সহায়তার জন্য দুটি হাসপাতালে হেল্প সেন্টার খোলা হয়েছে, যেখানে আহতদের অবস্থার আপডেট দেওয়া হচ্ছে।
সরকার ও স্থানীয়দের উদ্বেগ
ঘটনার পর স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ঘটনার তদন্তে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং মসজিদ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
