বাংলাদেশে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ (ETC) ব্যবস্থা। এ পদ্ধতিতে টোলগেটের সামনে গাড়ি থামাতে হবে না; নির্দিষ্ট লেনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল কেটে নেওয়া হবে।
কীভাবে কাজ করবে ই-টোল?
সেতু ব্যবহারকারীকে প্রথমে ট্যাপ (TAP) অ্যাপ-এ নিবন্ধন করতে হবে। এরপর মাওয়া প্রান্তের আরএফআইডি (RFID – Radio Frequency Identification) বুথে ট্যাগ যাচাই সম্পন্ন করলে গাড়িটি ই-টোল ব্যবহারের উপযুক্ত হবে। এতে চলন্ত অবস্থাতেই টোল প্রদান সম্ভব হবে।
সোমবার দুপুর ২টা থেকে এ সিস্টেম পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে, জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (BBA) মুখপাত্র মাসুদ রানা সিকদার বলেন,
“আজ থেকে লাইভ পাইলটিং শুরু হয়েছে। এখন টোল সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি যারা এখনো নিবন্ধন করেননি, তারাও ETC-তে নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে এজন্য অবশ্যই বিআরটিএ অনুমোদিত RFID থাকতে হবে।”
এর আগেও হয়েছিল পরীক্ষা
২০২৩ সালেও সেতুতে একই ধরনের টোল সংগ্রহ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল। তবে নানা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সফল হয়নি। এবার নতুন পরিকল্পনার অধীনে আবারও এ পরীক্ষামূলক চালু করা হলো।
এ প্রসঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়,
“আগেরবার প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও সমন্বয়ের ঘাটতির কারণে প্রকল্পটি কাঙ্ক্ষিতভাবে কাজ করেনি। এবার পরামর্শকের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুনভাবে পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এবার কার্যকরভাবে চালু করা সম্ভব হবে।”
যাতায়াত হবে দ্রুত ও আধুনিক
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ই-টোল কার্যকর হলে পদ্মা সেতু পারাপারে যানজট কমবে, সময় বাঁচবে এবং টোল সংগ্রহ হবে আরও স্বচ্ছ ও কাগজবিহীন।
সরকারি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হলে পূর্ণমাত্রায় ETC চালু করা হবে পদ্মা সেতুতে। ধাপে ধাপে দেশের অন্যান্য সেতু ও মহাসড়কেও এ ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।











