পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটায় ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার আধাসামরিক বাহিনীর একটি সদরদপ্তরের বাইরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী সারফরাজ বুগতি জানান, বিস্ফোরণের পর কয়েকজন বন্দুকধারী সদরদপ্তরে প্রবেশ করে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। তার ভাষায়, হামলাকারী একটি পিকআপ ট্রাক নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়, পরে নিরাপত্তা বাহিনী আরও চারজন সশস্ত্র হামলাকারীকে হত্যা করে।
তিনি বলেন, “এই কাপুরুষোচিত হামলা আমাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথ রোধ করতে পারবে না।”
প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বখত কাকার জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেসামরিক ও সেনা সদস্য উভয়ই রয়েছেন। অন্তত ৩৩ জন আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান। নিহত সেনাদের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
কোয়েটা বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী, যা আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্তবর্তী অশান্ত অঞ্চল। খনিজসমৃদ্ধ এই প্রদেশে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের অংশ হিসেবে গওয়াদার বন্দর নির্মিত হয়েছে। প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অন্তর্ভুক্ত।
সাম্প্রতিক সময়ে এ অঞ্চলে জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলা বেড়েছে। তবে মঙ্গলবারের হামলার দায় এখনো কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। সাধারণত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী, চীনা নাগরিক ও তাদের প্রকল্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তাদের দাবি, প্রাদেশিক সম্পদে ন্যায্য অংশ পাওয়ার জন্য তারা লড়াই করছে।
পাকিস্তান সরকার অভিযোগ করে আসছে, এসব সহিংসতায় ভারতের মদদ রয়েছে, যাতে বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি হয়। তবে নয়াদিল্লি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।











