কফি মানেই একসময় ছিল আড্ডা, গল্প আর নস্টালজিয়া ভরা স্মৃতি। সেই কাঠের চেয়ার, গরম ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ আর বন্ধুরা মিলে নিরন্তর আলোচনায় হারিয়ে যাওয়া সময়গুলো আজ শুধু স্মৃতির পাতায়। সময় পাল্টেছে, আড্ডার ধরণও বদলেছে। এখন কফি শুধু বন্ধুদের আড্ডার অংশ নয়, বরং প্রেমিক-প্রেমিকার ডেট, পারিবারিক মিলনমেলা কিংবা একান্ত রোমান্টিক মুহূর্তের প্রতীক।
তবে শহরের ব্যস্ততা আর ব্যয়বহুল ক্যাফেতে সময় কাটানো সবসময় সম্ভব হয় না। তাই ঘরেই চাইলে তৈরি করা যায় ছোট্ট, সুন্দর, রোমান্টিক কফিশপের আবহ।
ইনস্ট্যান্ট কফি, দুধ আর চিনি দিয়েই বানানো যায় ক্যাফে-স্টাইল লাতে বা ক্যাপাচিনো। একটু বাড়তি যত্ন নিলে যোগ করতে পারেন চকলেট সিরাপ, দারুচিনি গুঁড়া বা ক্যারামেল। প্রিয়জনের জন্য কাপে ছোট্ট আঁকিবুকি কিংবা বার্তা লিখে দিলেই কফি হয়ে উঠবে আরও বিশেষ।
আলাদা জায়গার দরকার নেই। জানালার ধারে একটি টেবিল, বারান্দার কোণ বা ছাদের নিরিবিলি অংশে সাজিয়ে তুলতে পারেন নিজের কফি কর্নার। মোমবাতি, ফেয়ারি লাইট আর কয়েকটি টব গাছ পরিবেশকে করবে আরও রোমান্টিক।
খরচও তুলনামূলক কম। বাইরে যেখানে দুজনের কফিতে খরচ হয় কয়েকশ টাকা, ঘরে বানানো কফিতে তা নামিয়ে আনা যায় মাত্র ৫০–৬০ টাকায়। সবচেয়ে বড় কথা, এখানে আছে নিজের মতো করে বানানোর স্বাধীনতা।
দুইজন মিলে কফি বানানো, টেবিল গোছানো, একসঙ্গে ছবি তোলা বা বই পড়া—এসব মুহূর্ত সম্পর্ককে করে আরও গভীর।
বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর ১ অক্টোবর পালিত হয় আন্তর্জাতিক কফি দিবস। এ দিনটি শুধু কফি নয়, সম্পর্ক আর ভালোবাসাকেও উদযাপন করার উপলক্ষ হতে পারে। বাইরে ভিড় আর কোলাহলের বদলে ঘরের কোণে প্রিয়জনকে পাশে নিয়ে বানানো রোমান্টিক কফিশপ হয়ে উঠতে পারে সবচেয়ে অমূল্য স্মৃতি।
শেষমেশ, কফি হয়তো সবার কাছে পানীয় নয়—এটি ভালোবাসার প্রতীক, সম্পর্কের ভাষা। তাই বাইরে না গিয়ে, নিজের ঘরের কোণেই খুঁজে নিন রোমান্সের সবচেয়ে সুন্দর আসর।











