জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান-সংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এবং পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা সোমবারও অব্যাহত রয়েছে।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই জেরা পরিচালিত হচ্ছে। আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন তদন্ত কর্মকর্তাকে একের পর এক প্রশ্নে ঘিরে ফেলেন।
জেরার শুরুতেই তিনি অভিযোগ করেন, “আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দেননি; বরং তদন্ত দলের প্ররোচনায় তা দিতে বাধ্য হয়েছেন।”
এর জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর দৃঢ়ভাবে বলেন, “এই অভিযোগ সত্য নয়। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন স্বেচ্ছায়ই নিজের জবানবন্দি দিয়েছেন। কোনো চাপ বা প্ররোচনা ছিল না।”
আইনজীবী আরও প্রশ্ন তোলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শতাধিক প্রাণহানির ঘটনায় মাত্র কিছু পরিবারের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে কেন। উত্তরে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, “প্রায় ১৫০০ জন নিহত ও ২৫ হাজার আহত হয়েছেন। সবার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি, তবে শহীদ পরিবারের ১০ জন ও আহত পরিবারের ২২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।”
জেরার একপর্যায়ে ‘আমার দেশ’ পত্রিকার প্রতিবেদন প্রসঙ্গে প্রশ্ন ওঠে। আইনজীবী দাবি করেন, “পত্রিকাটি রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন ছেপেছে।”
তদন্ত কর্মকর্তা সংক্ষেপে জবাব দেন, “এটি সত্য নয়।”
সবশেষে ভিডিও প্রমাণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আইনজীবী জানতে চান, “২০ ও ২১ এপ্রিল জব্দ করা ভিডিওগুলো কি এআই (AI)-জেনারেটেড?”
জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “না, এগুলো বাস্তব ফুটেজ, কোনো এআই-নির্মিত ভিডিও নয়।”
তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর মামলার ৫৪তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিন সাক্ষ্য দেওয়ার পর বর্তমানে তাঁর জেরা চলছে।











