মেক্সিকোতে টানা প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বৃষ্টিতে প্রায় গোটা দেশই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
৩২টি রাজ্যের মধ্যে ৩১টিতেই ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে, বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, কোথাও কোথাও ভূমিধস ও সেতু ধসের ঘটনাও ঘটেছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মধ্যাঞ্চলের হিদালগো প্রদেশ, যেখানে ১৬ জনের মৃত্যু ও এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৯০টি এলাকা এখনো পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। পাশের পুয়েবলা রাজ্যে প্রাণহানি হয়েছে আরও ৯ জনের।
এছাড়া ভেরাক্রুজ রাজ্যে ২ জন ও কেরেতারো রাজ্যে ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে—নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রাষ্ট্রপতি ক্লাউদিয়া শেইনবাম এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ জানিয়েছেন, “উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। সেনা সদস্য, নৌবাহিনী, হেলিকপ্টার ও নৌকা মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধারে কাজ করছি।”
জাতীয় সিভিল ডিফেন্স সমন্বয়ক লাউরা ভেলাজকেজ জানিয়েছেন, বন্যা ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী ত্রাণ, আশ্রয়কেন্দ্র ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।
প্রধান দুর্যোগটি ঘটেছে সিয়েরা মাদ্রে ওরিয়েন্তাল পর্বতমালা অঞ্চলে—যা মেক্সিকো উপসাগরের সমান্তরালে অবস্থিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বছরের অস্বাভাবিক বর্ষণ মৌসুমি পরিবর্তন ও উষ্ণ আর্দ্র বাতাসের সংমিশ্রণের ফল।
রাজধানী মেক্সিকো সিটিতেও বৃষ্টিপাতের নতুন রেকর্ড হয়েছে। অন্যদিকে, মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, সপ্তাহের শেষে “রেমন্ড” নামে একটি ঝড় বাহা ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণে আঘাত হানতে পারে, তবে এটি দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।











