শনিবার রাতে ভয়াবহ সংঘর্ষে কেঁপে উঠেছে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চল। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল এলাকায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে তীব্র গোলাগুলি হয়েছে। সংঘর্ষের কেন্দ্র ছিল পাক্তিয়া, হেলমান্দ, পাকতিকা, খোস্ট ও নাঙ্গরাহার প্রদেশের বিভিন্ন সীমান্ত পোস্ট।
আফগান সূত্র বলছে, ৯ অক্টোবর কাবুলে পাকিস্তানের বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই এই পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে আফগান বাহিনী। এতে পাকিস্তানের বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহু সেনা হতাহত হয়েছেন বলে দাবি তাদের।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী (ISPR) জানিয়েছে, এই সংঘাতে তাদের কমপক্ষে ২৩ জন সেনা নিহত হয়েছেন। তবে আফগান সূত্র দাবি করছে, সংখ্যাটি ৫০ জনেরও বেশি। অপরদিকে পাকিস্তানের বক্তব্য, এই লড়াইয়ে ২০০ জনের বেশি তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত অঞ্চলে এবং কাবুলের ভেতরে একাধিক চেকপোস্টে কঠোর তল্লাশি চলছে। বিশেষ করে বাঘরাম বিমানঘাঁটি এবং সরকারি ভবন এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
আফগানিস্তানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, পাকিস্তানের ভেতরে অবস্থানরত আইএসআইএস সদস্যদের হস্তান্তর বা বহিষ্কার করা উচিত, কারণ এই গোষ্ঠী কেবল আফগানিস্তান নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য হুমকি।
পঞ্জশির প্রদেশের মুখপাত্র সইফউদ্দিন লাতুন জানান, সীমান্তে প্রধানত আফগান বাহিনীই হামলা শুরু করেছে, এবং কিছু পাকিস্তানি সেনার মৃতদেহ সীমান্তের আফগান অংশে নিয়ে আসা হয়েছে।
যদিও কাবুলে জীবনযাত্রা তুলনামূলক স্বাভাবিক—বাজার, অফিস ও যানবাহন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। তবুও সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ ও অনিশ্চিত।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ আহ্বান জানিয়েছেন, দুই দেশের উচিত কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। তাঁর মতে, টিটিপি ইস্যুতে কাবুলে যাকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান হামলা চালায়, তিনি সেসময় কাবুলে ছিলেনই না।











