মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশি কর্মীদের জন্য জনপ্রিয় এইচ-১বি ভিসার ফি এক লাখ ডলার নির্ধারণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মার্কিন চেম্বার অব কমার্স। সংগঠনটির অভিযোগ, এই সিদ্ধান্ত অবৈধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ওয়াশিংটন ডিসিতে দায়ের করা মামলায় চেম্বার অব কমার্স আদালতের কাছে ফি কার্যকর স্থগিতের আবেদন জানায়। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এইচ-১বি ভিসা সাধারণত প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও গবেষণাসহ উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় টেক কোম্পানিগুলোই এ ভিসার সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী।
ট্রাম্প প্রশাসন গত মাসে নতুন ফি কাঠামোর ঘোষণা দেয়, যুক্তি হিসেবে জানায়—দেশীয় চাকরিগুলো বিদেশি স্বল্পমূল্যের কর্মীরা দখল করছে। পরে হোয়াইট হাউস ব্যাখ্যা দেয়, বর্তমান ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে এ ফি প্রযোজ্য নয় এবং ছাড় পেতে আলাদা আবেদন প্রক্রিয়াও থাকবে।
তবে চেম্বার অব কমার্সের মতে, এই সিদ্ধান্ত মার্কিন অভিবাসন আইনের পরিপন্থী। তাদের যুক্তি—বিদ্যমান আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে, ভিসা ফি নির্ধারণ করতে হবে প্রশাসনিক ব্যয়ের ভিত্তিতে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নয়।
মামলার আবেদনে বলা হয়, “প্রেসিডেন্টের কাছে বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকলেও তা কংগ্রেসের অনুমোদিত আইনের বাইরে গিয়ে প্রয়োগ করা সাংবিধানিক নয়।”
এর আগে একেকটি এইচ-১বি ভিসার আবেদন ফি ছিল প্রায় ৩,৬০০ ডলার। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে তা এক লাফে বেড়ে দাঁড়াবে এক লাখ ডলারে—যা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশাল আর্থিক চাপ সৃষ্টি করবে।
চেম্বার অব কমার্স আশঙ্কা জানিয়েছে, এই ফি কার্যকর হলে মার্কিন কোম্পানিগুলো হয় ব্যয় বাড়াতে বাধ্য হবে, নয়তো বিদেশি উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনী সক্ষমতা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা শক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস











