D
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সনদে স্বাক্ষর করেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, “আজকের দিনটি আমাদের জাতীয় নবজন্মের দিন। এই সনদ কেবল একটি দলিল নয়—এটি বাংলাদেশের নতুন দিকনির্দেশনা।” তিনি যোগ করেন, “রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়েছি। এই ঐকমত্যই হবে পরিবর্তনের সূচনা।”
প্রধান উপদেষ্টা জানান, দীর্ঘ আট মাসের সংলাপ, মতৈক্য ও পর্যালোচনার মাধ্যমে সনদটি চূড়ান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, “এই দলিল আগামী সরকারের নীতিমালার ভিত্তি হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে এটি রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে।”
তরুণ প্রজন্মের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ তরুণদের দেশ। ১৮ কোটির অর্ধেকই ২৭ বছরের নিচে—এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। বিশ্বের অনেক দেশ আজ তরুণশূন্য, অথচ আমরা তরুণের প্রাচুর্যে সমৃদ্ধ। এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশই হবে বৈশ্বিক পরিবর্তনের নেতৃত্বদানকারী দেশ।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই সনদের আলোকে আমরা এক নতুন পথে হাঁটছি। আমাদের ঐকমত্য যদি টিকে থাকে, তাহলে এই সনদ শুধু দেশের নয়, বিশ্বেরও অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সনদকে বাংলাদেশের ইতিহাসে “অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে ঐক্যবদ্ধ সাফল্য” বলে অভিহিত করেন।











