রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে নতুন এক কূটনৈতিক অধ্যায় শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক দীর্ঘ ফোনালাপের পর ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা, বিশেষ করে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
গত আগস্টের পর প্রথমবারের মতো দুই নেতার মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টার ফোনালাপ হয়, যেটিকে ট্রাম্প “অত্যন্ত ফলপ্রসূ” বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, ওয়াশিংটন ও মস্কোর কর্মকর্তারা শিগগিরই সরাসরি বৈঠকে বসবেন। ক্রেমলিনও জানিয়েছে, এই ফোনালাপের পর দ্রুত শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু হবে।
এরই মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ। এই ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের হাতে গেলে তা হবে তাদের সবচেয়ে দূরপাল্লার আক্রমণাত্মক অস্ত্র, যা দিয়ে মস্কো পর্যন্ত আঘাত হানার সক্ষমতা অর্জন করবে কিয়েভ।
কিন্তু পুতিনের সঙ্গে সদ্য ফোনালাপের পর ট্রাম্পের সুরে শীতলতা লক্ষ্য করা গেছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের নিজেদেরও টমাহক দরকার। এখনই কিছু নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।” ফলে ইউক্রেনের কাছে এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের আশায় অনিশ্চয়তার মেঘ ঘনীভূত হয়েছে।
ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, ফোনালাপে ইউক্রেন প্রসঙ্গ তিনি তুলেছিলেন, কিন্তু পুতিন এতে “খুশি নন” বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি শিগগিরই বুদাপেস্টে পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন, যদিও নির্দিষ্ট তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র চাওয়ার বিষয়টি তাদের কৌশলগত নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে ট্রাম্পের এই দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থান জেলেনস্কির কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা হতে পারে।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (X) লিখেছেন, “বুদাপেস্টে পরিকল্পিত বৈঠক শান্তিপ্রত্যাশী বিশ্বের জন্য ইতিবাচক বার্তা। শান্তি প্রতিষ্ঠায় ধৈর্য, শক্তি ও বিনয় অপরিহার্য।”











