ইসরায়েলের হাতে ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা ও দমননীতি বন্ধের দাবিতে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমবেত হয় ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি। এ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ রাষ্ট্র মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও জায়নবাদী শক্তির কাছে নতজানু হয়ে আছে, ফলে তারা কোনো প্রতিবাদে মুখ খুলছে না।
লেখক কল্লোল মোস্তফা তার বক্তব্যে স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১০ সালে যে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ যাত্রা শুরু করেছিল, তা অব্যাহত থাকবে যতদিন না ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করে। তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বের নীরবতা ভাঙতেই হবে।
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, “বিশ্বজুড়ে মানুষ গাজার হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, অথচ মুসলিম দেশগুলো নিশ্চুপ। এটি কেবল ফিলিস্তিনের লড়াই নয়, এটি সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রাম।”
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব হোসেন জানান, গাজায় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ইহুদিদের একটি অংশও রাস্তায় নেমেছে, যা প্রমাণ করে এটি কোনো ধর্মীয় যুদ্ধ নয়; বরং মানবতার লড়াই।
গবেষক চৌধুরী মুফাদ আহমেদ বলেন, মানবতার শক্তি এখনও নিঃশেষ হয়নি। বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে এবং এতে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোর মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করেন, বাংলাদেশকেও কেন্দ্র করে বৈশ্বিক শক্তিগুলো ষড়যন্ত্র করছে।
সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফি রতন বলেন, “যদি মার্কিন প্রশাসনের রাজনৈতিক স্বার্থে গাজায় সংঘাত বন্ধ হয়, তবে তা ফিলিস্তিনে স্থায়ী শান্তি আনতে পারবে না। আমাদের সংহতি সব সময় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে থাকবে।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বেলাল চৌধুরী, জুলফিকার আলী, নাসির উদ্দিনসহ বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনের নেতারা। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে প্রতিবাদে সংহতি প্রকাশ করে।











