মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তি উদযাপনের এক দিন পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন: হামাস যদি স্বেচ্ছায় অস্ত্র ত্যাগ না করে, তবে তারা নিরস্ত্রীকরণ করা হবে। তিনি বলেন, এটি দ্রুত ঘটবে এবং সম্ভবত সহিংসভাবে—“আমি খেলা খেলছি না।”
ট্রাম্প আরো জানিয়েছেন যে, তিনি সরাসরি নয় বরং “আমার লোকেদের মাধ্যমে” হামাসকে বার্তাটি পৌঁছে দিয়েছেন। তবে তিনি কোন শক্তি বা বাহিনী নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকবে কি না তা স্পষ্ট করেননি। হামাস এখনও পর্যন্ত অস্ত্র ছাড়ার মত সম্মতি দেয়নি; কিন্তু ট্রাম্পের ২০ ধাপীয় যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদি শান্তি পরিকল্পনায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।
এদিকে বিখ্যাত এক বিতর্কিত ইস্যু হচ্ছে জিম্মিদের ও মৃতদেহের ফেরত। রবিবার–সোমবার পরিস্থিতিতে হামাস ২০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, কিন্তু এখনও তাদের কাছে ২৪ জন মৃত জিম্মির মরদেহ রয়েছে; কয়েকটি মরদেহ ইতোমধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের উগ্র-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভির সতর্ক করে বলেছেন, যদি বাকি মৃতদেহগুলো ফেরত না দেওয়া হয়, গাজায় চালানো হবে ত্রাণ সহায়তা বন্ধের হুকুম।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ উল্লেখ করেছেন যে ফিরে আসা ২০ জন জিম্মি “যতটা সম্ভব ভালো আছেন” এবং বলেছেন—“একটা বড় বোঝা নামানো হলো, কিন্তু কাজ এখনও শেষ হয়নি। মৃতদের মরদেহ প্রত্যাবর্তন হয়নি — দ্বিতীয় ধাপ এখনই শুরু হচ্ছে।”
ভ্রমণে ট্রাম্প এবং আঞ্চলিক নেতারা গাজায় যুদ্ধবিরতিকে টেকসই করতে এক যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছেন এবং ট্রাম্প এটিকে “মধ্যপ্রাচ্যের একটি নতুন ঐতিহাসিক ভোর” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে গাজার একটি হাসপাতাল জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল ৪৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে।











