দীর্ঘ বন্দিজীবন শেষে অবশেষে স্বাধীনতার মুখ দেখলেন প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি। গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে সোমবার ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ তাদের মুক্তি দিয়েছে।
ইসরায়েলি কারা পরিষেবা (Israel Prison Service) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মোট ১,৯৬৮ জন বন্দিকে দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে রামাল্লাহর ওফার এবং নেগেভের কৎজিওত কারাগারে স্থানান্তরের পর মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে এবং রাজনৈতিক অনুমোদন পাওয়ার পর বন্দিদের ওফার কারাগার থেকে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে, আর কৎজিওত কারাগার থেকে কেরেম শালোম সীমান্ত দিয়ে গাজা পাঠানো হয়েছে।’
অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়া ও রামাল্লাহর মাঝামাঝি অবস্থিত ওফার কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অনেক বন্দিকে বাসে করে নিজ নিজ গন্তব্যে পাঠানো হয়। মুক্তির মুহূর্তে স্বজনদের কান্না ও উল্লাসে মিশে যায় আবেগঘন পরিবেশ।
অন্যদিকে, ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস এই ব্যাপক মুক্তিকে তাদের সংগ্রামের এক ‘ঐতিহাসিক জাতীয় মাইলফলক’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে,
“দখলদার শক্তির কারাগার থেকে আমাদের বন্দিদের মুক্তি পুরো জাতির জন্য গর্বের। এটি স্বাধীনতা ও ন্যায়ের লড়াইয়ে এক উজ্জ্বল অধ্যায়।”
এই বন্দিমুক্তি কার্যক্রমটি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়।
চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের হাতে থাকা কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।










