বিশ্বজুড়ে খবর, এক ক্লিকেই

October 29, 2025 9:51 am
October 29, 2025 9:51 am

বাংলাদেশ ও ভারতের চলচ্চিত্রে সমান জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান—সম্প্রতি আবারও আলোচনায়, এবার অভিনয় নয়, বরং তার সৌন্দর্য নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে—তিনি কি প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন?

হলিউড-বলিউডের মতো ঢালিউডেও এই প্রসঙ্গ নতুন নয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অনেক তারকাই যেমন খোলাখুলিভাবে প্লাস্টিক সার্জারির কথা স্বীকার করেছেন—কার্ডি বি, শিল্পা শেঠি, আনুশকা শর্মা—তেমনি ঢাকাই চলচ্চিত্রেও সময় সময় এমন আলোচনা শোনা যায়। তবে এখানকার তারকারা সাধারণত এ বিষয়ে মুখ খোলেন না।

তবে সম্প্রতি এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সরাসরি এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন জয়া আহসান
আলাপের একপর্যায়ে তিনি হেসে বলেন,

“মানুষ বলে, আমার নাকি পুরো শরীরই প্লাস্টিক সার্জারি করা—হেড টু টো পর্যন্ত! আমি নাকি বোটক্স, এটা-সেটা সবই করি। এগুলো আমি দেখি না, এমনটা মানুষ ভাবে। কিন্তু মাঝেমধ্যে দেখি। কমেন্ট বক্স দেখলে বোঝা যায় আমাদের দেশের পুরুষদের মানসিকতা কেমন।”

তবে সার্জারি করেছেন কি না—এ প্রশ্নের জবাবে জয়া সরাসরি কিছু বলেননি। বরং খানিকটা দার্শনিক ভঙ্গিতে তিনি বলেন,

“যা দরকার ছিল, করেছি। ভালো হয়েছে তো, পচানি খাইনি! জীবনে সব কিছুতেই কি সফল হতে হবে? ভুল করেছি, স্বীকার করব না কেন? ভুলই আমাকে আজকের জয়া বানিয়েছে।”

তার এই মন্তব্যের পর নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে—তিনি কি সত্যিই কোনো প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন, নাকি কেবল মজার ছলে বলেছেন?

পডকাস্টে তিনি ট্রল নিয়েও কথা বলেন। ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ২’ ছবিতে তার বলা “মারোওও” সংলাপটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ট্রল হয়েছিল। পরবর্তীতে ‘উৎসব’ সিনেমাতেও একই সংলাপ পুনরায় আলোচনায় আসে।

অভিনয়ের ধারাবাহিকতায় জয়া সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশেরই একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। তার অভিনীত সাম্প্রতিক সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘তাণ্ডব’, ‘উৎসব’, ‘ডিয়ার মা’‘পুতুল নাচের ইতিকথা’
এছাড়া গত ১৯ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে ‘ফেরেশতে’, আর ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আলোচনায় এসেছে ‘জয়া আর শারমিন’‘নকশীকাঁথার জমিন’

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন ও বক্তব্য দিয়েও সমানভাবে আলোচনায় রয়েছেন এই তারকা। প্লাস্টিক সার্জারির প্রশ্নে তার উত্তর যতটা কৌতূহল বাড়িয়েছে, ততটাই মুগ্ধ করেছে আত্মবিশ্বাসী মনোভাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *