৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের প্রায় আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়নি। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নথি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়নি। এই দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন হাজারো প্রার্থী।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
দীর্ঘসূত্রতায় ক্ষোভ
প্রার্থীদের অভিযোগ, ২০২১ সালের নভেম্বরে ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। প্রায় ৩ বছর ৭ মাসের প্রক্রিয়ার পর চলতি বছরের ৩০ জুন চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। অথচ এত দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পরও গেজেট প্রকাশসহ চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়নি।
অন্যদিকে একই সময়ে অনুষ্ঠিত ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের ফল প্রকাশের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।
রিপিট ক্যাডার ইস্যু ও ফাইল আটকে থাকা
প্রার্থীরা জানান, ৪৪তম বিসিএসের ফলে প্রায় ৩৭২ জন রিপিট ক্যাডার রয়েছেন। এই সংখ্যা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রক্রিয়া অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিলম্বিত হচ্ছে। সচিব কমিটির অনুমোদনের পরও প্রয়োজনীয় নথি এখনও আটকে রয়েছে পিএসসির মতামতের জন্য।
প্রার্থীদের তিন দফা দাবি
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা দ্রুত সমস্যার সমাধানের জন্য তিন দফা দাবি উপস্থাপন করেন—
- দ্রুত পুনঃফলাফল ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ এবং প্রকাশ করা।
- ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ ও নিয়োগ নিশ্চিত করা।
- নিয়োগ শেষ হওয়ার পরই কেবল পরবর্তী বিসিএসের সুপারিশ প্রকাশ করা।
মানসিক চাপে শিক্ষার্থীরা
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কয়েকজন প্রার্থী। তারা বলেন, প্রায় চার বছরের প্রস্তুতি ও অপেক্ষার পরও শেষ মুহূর্তে নিয়োগ না হওয়া মানসিক চাপ ও অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। এতে তাদের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা স্থগিত অবস্থায় রয়েছে।
তারা কমিশনের প্রতি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন—
“আমাদের জীবন চার বছর ধরে এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আটকে রাখা হয়েছে। এখনই গেজেট প্রকাশ না হলে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।”
৪৪তম বিসিএসের প্রার্থীরা মনে করছেন, নিয়োগ বিলম্ব শুধুমাত্র তাদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন করছে না, বরং সরকারি শূন্য পদ পূরণেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তারা পিএসসির দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন।











