ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে একটি আবাসিক স্কুলের ভবন ধসে প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় ৩৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে, আর ২৬ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থা।
দুর্ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার, যখন বহুতল ভবনের একটি অংশ হঠাৎ ধসে পড়ে। ভবনটির উপরের তলায় তখন নির্মাণকাজ চলছিল, আর নিচে শতাধিক কিশোর শিক্ষার্থী বিকেলের নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। মুহূর্তেই পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
সংস্থার অপারেশন ডিরেক্টর ইয়ুধি ব্রামান্ত্যো জানিয়েছেন, “রোববার সকাল পর্যন্ত ১৪১ জনকে উদ্ধার করা গেছে। তাঁদের মধ্যে ১০৪ জন জীবিত, আর ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।” উদ্ধার অভিযান এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ধ্বংসস্তূপ সরানোর সময় ভবনের অন্য অংশে কম্পন দেখা দিচ্ছে, ফলে উদ্ধার অভিযান ধীর গতিতে চলছে। দুর্ঘটনার পর প্রথম ৭২ ঘণ্টাকে “গোল্ডেন আওয়ার” হিসেবে ধরা হয়েছিল, কারণ এই সময়ের মধ্যেই জীবিতদের বাঁচানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে শুক্রবার থেকে পরিবারগুলোর অনুমতি নিয়ে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ জোরদার করা হয়।
তদন্তে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিম্নমানের নির্মাণকাজ এবং নিরাপত্তা ত্রুটি এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার মূল কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবনটির কাঠামোগত দুর্বলতা এবং অতিরিক্ত নির্মাণচাপ একসঙ্গে বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
উদ্ধারকারী দল আশা করছে, আগামী সোমবারের মধ্যেই উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার আশাও তাঁরা ছাড়ছেন না।











