দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবার হাত দিয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির দিকে। ২০ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরীর (মাহী বি. চৌধুরী) বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সংস্থাটি।
বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। মামলার বাদী হিসেবে থাকছেন কমিশনের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং ইউনিট) মো. জাহাঙ্গীর আলম।
দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাহী বি. চৌধুরী তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে প্রায় ৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া তিনি মোট ২০ কোটি ৬৯ লাখ ২৫৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে—অবৈধ অর্থের উৎস লুকাতে মাহী বি. চৌধুরী ৬৮ একর জমির বায়না অর্থ পরিশোধ করে নিজের নামে দলিল সম্পাদন করেন। পরবর্তীতে জমিটি তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এভালন এস্টেট লিমিটেডের নামে হস্তান্তর করা হয়, যার মাধ্যমে অর্থের রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা ঘটে।
দুদক জানিয়েছে, এ ঘটনায় মাহী বি. চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দুদকের মতে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে এসব ধারায় সর্বোচ্চ কারাদণ্ড ও সম্পদ বাজেয়াপ্তের শাস্তি হতে পারে।











