গত শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচটি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৯৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনায় একজন ব্যক্তি রিমন চন্দ্র বর্মণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তবে তার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত থাকার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনার বিবরণ
শেরেবাংলা নগর ও ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় অভিযোগ এসেছে কেপিআই এলাকায় অনধিকার প্রবেশ, পুলিশ পোস্টে ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগের।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান জানিয়েছেন, “সংসদ ভবন সংরক্ষিত এলাকা। সেখানে জোর করে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। চারটি মামলায় ৯০০ জন অজ্ঞাতপরিচয়কে আসামি করা হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় পুলিশের অন্তত পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া সড়কে পুলিশ ও র্যাবের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণকক্ষে অগ্নিসংযোগ চালানো হয়েছে। পুলিশের ১০ জন সদস্য, যার মধ্যে ছিলেন পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপকমিশনার তানভীর আহমেদ, আহত হয়েছেন ইটপাটকেল নিক্ষেপের ফলে।
শেরেবাংলা থানার ওসি ইমাউল হক জানিয়েছেন, চারটি মামলার মধ্যে একটির বাদী ট্রাফিক পুলিশ, বাকি তিনটির বাদী থানা পুলিশ। এসব মামলায় এখনও কাউকে এজাহারভুক্ত করা হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
সংঘর্ষের প্রেক্ষাপট
জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠানে জুলাইযোদ্ধাদের স্বীকৃতি, শহীদ ও আহতদের অধিকার নিশ্চিতকরণ, সুরক্ষা আইন এবং দায়মুক্তি নিশ্চিতকরণ এই তিন দাবিতে সমাবেশে অংশ নিয়েছিল একটি পক্ষ।
ধুর্বৃত্তরা বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। সকালে প্রাচীর টপকে সনদ সই অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। পুলিশ ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা রাতভর তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
ধানমন্ডি থানার ওসি ক্যশৈন্যু মারমা জানান, ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের এসি (প্যাট্রল) গাড়ি ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিসাধন এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৮০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে দায়ীদের আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে।











