বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হবে — এমন ঘোষণা দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, “আমরা যদি জনগণের ভালোবাসায় সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে এমন স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তুলব যাতে কোনো রোগীকে আর হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে থাকতে না হয়।”
শনিবার বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়িতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিনামূল্যের চিকিৎসা ক্যাম্প শেষে এক আলোচনা সভায় যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন তিনি।
“কেউ চিকিৎসাবঞ্চিত থাকবে না”
তারেক রহমান বলেন, “সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও সাধারণ মানুষ যেন চিকিৎসা নিতে পারে, সে ব্যবস্থাই আমরা করব। দেশের স্বাস্থ্যখাতে এমন একটি কাঠামো গড়ে তোলা হবে, যেখানে কোনো নাগরিক চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধু চিকিৎসা নয়, শিক্ষা, কৃষি ও কর্মসংস্থানের প্রতিও সমান গুরুত্ব দিচ্ছি। কৃষকদের জন্য ফারমার্স কার্ড, পরিবারগুলোর জন্য ফ্যামিলি কার্ড, এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ভাষা ও পেশাগত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হবে। এতে তরুণরা চাকরি না পেলেও নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারবে।”
“মানুষের কল্যাণে রাজনীতি”
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান বলেন, “আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। বিএনপির মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানবকল্যাণ, যেখানে নারী, শিক্ষা, কৃষক ও স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। আমাদের এমন উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে মানুষ কম অসুস্থ হয় এবং সচেতনতার মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে।”
“মানবতার সেবায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে”
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমান। তিনি বলেন, “বিশ্ব মানবসভ্যতা আজ এক ক্রান্তিকালে। এই সময়ে মানবতার সেবায় প্রত্যেকের উচিত নিজের অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ আলিম ডোনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল, ড্যাব বগুড়ার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. শাজাহান আলী, “আমরা বিএনপি পরিবার”-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটন, এবং ক্যাম্প ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. ইউনুস আলী।
সাত হাজার মানুষের চিকিৎসা
দিনব্যাপী আয়োজিত এ চিকিৎসা ক্যাম্পে প্রায় ৭ হাজার অসহায় ও দরিদ্র রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধসেবা পান। এতে অংশ নেন ১৭০ জন চিকিৎসক, যাদের মধ্যে ৮০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সারাদিন রোগীদের সেবা প্রদান করেন।











