বদলা নেওয়ার আশা নিয়ে দুবাইয়ে সুপার ফোরের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান, কিন্তু সেই আশা পূরণ হলো না। এশিয়া কাপের দ্বিতীয় দেখায়ও ভারতের দাপটের কাছে পাত্তা পেল না পাকিস্তান। এবার ৬ উইকেটে হারালো ভারত।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই ভারতীয় ওপেনার, অভিষেক শর্মা এবং শুভমান গিল, পাকিস্তানি বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান। এতটাই আগ্রাসী ছিলেন তারা যে মাত্র ৯ ওভারের মধ্যেই শতরানের জুটি গড়ে ফেলেন। গিল ব্যক্তিগত ৪৭ রানে আউট হলেও দলের স্কোর তখন ১০৫। তার ২৮ বলের ইনিংসে কোনো ছক্কা না থাকলেও ছিল ৮টি চার, যা প্রমাণ করে তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং।
তবে এই ঝড়ের আসল নায়ক ছিলেন অভিষেক শর্মা। ২৪ বলে অর্ধশতক হাঁকানোর পর তিনি ৭৪ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার ১৮৯.৭৪ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৫টি বিশাল ছক্কা। এই ইনিংসের সুবাদে অভিষেক একটি টি-টোয়েন্টি রেকর্ডও গড়েছেন। তিনি মাত্র ৩৩১ বলে দ্রুততম ৫০ ছক্কার রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন, যা এতদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইসের (৩৬৬ বলে) দখলে ছিল।
অভিষেক ও গিলের বিদায়ের পর পাকিস্তান কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিল। ১৯ রানের ব্যবধানে তারা ভারতের ৩টি উইকেট তুলে নেয়। ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব শূন্য রানে আউট হন এবং সঞ্জু স্যামসন ১৩ রান করে ফিরে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিলক ভার্মা এবং হার্দিক পান্ডিয়া জয়ের বাকি কাজটুকু সেরে ফেলেন। তিলক ৩০ রান করেন এবং হার্দিক ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। এর ফলে ৭ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে সহজ জয় তুলে নেয় ভারত।
ম্যাচ শেষে গ্রুপ পর্বের মতোই পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ।
এই জয়ের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা ষষ্ঠ জয় পেল, যা দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে একটি নতুন রেকর্ড। এর আগে উভয় দলেরই টানা ৫টি করে জয়ের রেকর্ড ছিল। টুর্নামেন্টে এর আগের ম্যাচেও ভারত পাকিস্তানকে ২৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান সংগ্রহ করে। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান, যিনি দুবার জীবন পেয়েছিলেন। তবে তার এই ইনিংস দলের জয়ে কোনো কাজে আসেনি। ভারতের হয়ে শিবম দুবে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট লাভ করেন।











