গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে আটককৃত কর্মীদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনারা অমানবিক আচরণ করছে—এমন ভয়াবহ অভিযোগ তুলেছেন ইতালির দুই সাংবাদিক। তাদের দাবি, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর সহায়তাকারীদের সঙ্গে আচরণ করা হচ্ছে “বানরের মতো নিষ্ঠুরভাবে।”
খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইতালীয় সাংবাদিক সাভেরিও তোমাসি জানান, ফ্লোটিলা থেকে আটক মানবিক সহায়তা কর্মীদের সঙ্গে এমনভাবে আচরণ করা হচ্ছে যেন তারা মানুষ নয়। তিনি বলেন,
“আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসা বা প্রয়োজনীয় ওষুধ পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। আটকরা এক রকম অমানবিক অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।”
জানা গেছে, ফ্লোটিলার ৪২টি নৌকা থেকে অন্তত ৪৫০ জন কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায় ইসরায়েলি নৌবাহিনী। এদের অনেকেই এখনো ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি অবস্থায় আছেন।
আরেক ইতালীয় সাংবাদিক লরেঞ্জো ড’আগোস্তিনো আরও ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন,
“আমাদের দু’দিন ধরে কারাগারে রাখা হয়েছিল। ঘুমাতে দেওয়া হয়নি, কুকুর দিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে, এমনকি বন্দুকের লেজার পয়েন্টার আমাদের শরীরের দিকে তাক করা ছিল।”
তিনি আরও দাবি করেন, ইসরায়েলি সেনারা তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ও অর্থ চুরি করেছে।
এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে,
শান্তিপূর্ণ মানবিক সহায়তা মিশনের কর্মীদের ওপর এমন নির্যাতন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও যুদ্ধ আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই অভিযোগ ইসরায়েলের ওপর নতুন করে কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে।











