বিশ্বজুড়ে খবর, এক ক্লিকেই

October 29, 2025 9:51 am
October 29, 2025 9:51 am

ঢাকা ও কুষ্টিয়ায় একযোগে ‘লালন উৎসব’: নতুন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা

ফকির লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবস উপলক্ষে এক অনন্য সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো ‘লালন উৎসব ও লালন মেলা’। প্রথমবারের মতো সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একযোগে ঢাকা ও কুষ্টিয়ায় এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একদিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। একইসঙ্গে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়ায় লালন ধামে তিনদিনের ঐতিহ্যবাহী লালন মেলা শুরু হয়েছে, যা চলবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই আয়োজন ‘নতুন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা’-র অংশ হিসেবে লালন দর্শন ও তার মানবতাবাদী দর্শনকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।

ঢাকার আয়োজনে বৈচিত্র্যময় লালনসঙ্গীত

ঢাকায় উৎসবের সূচনায় প্রদর্শিত হয় একটি তথ্যচিত্র, যেখানে লালনের দর্শন ও সামাজিক চিন্তাধারার দিকগুলো তুলে ধরা হয়। এরপর শুরু হয় সংগীতানুষ্ঠান।

মঞ্চে প্রথমে পরিবেশনা করেন এ্যানি বৈরাগীসুখলাল রায়, তাঁদের কণ্ঠে শোনা যায় ‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে’ ও ‘আল্লাহ বলো মনরে পাখি’।

এরপর একে একে মঞ্চে আসেন সূচনা শেলী, ফাহমিদা আহমেদ শিফা, বাউলা ব্যান্ড, টংয়ের গান এবং পথিক নবী ও টিম ক্রিয়েটিভ, যারা পরিবেশন করেন ‘তিন পাগলের হলো মেলা’সহ একাধিক জনপ্রিয় লালনগীতি।

এছাড়াও পরিবেশনায় ছিলেন অরূপ রাহী, সমগীত দল, নীরব অ্যান্ড বাউলস, দীনা মণ্ডল, মুজিব পরদেশী, কানিজ খন্দকার মিতুসাগর বাউল। তাঁদের সঙ্গে আলেয়া বেগম, মাখন দেওয়ান মার্থাবেঙ্গল সিম্ফনি পরিবেশন করেন ‘মিলন হবে কত দিনে’ ও ‘মন তুই করলি রে কি ইতর পনা’-র মতো কালজয়ী গান।

উৎসবের সমাপনীতে ব্যান্ড ‘লালন’ মঞ্চে উঠে পরিবেশন করে ‘জাত গেল’, ‘ক্ষ্যাপা’, ‘অপার’, ‘সময় গেলে’, ‘গুরুর চরন’ ও ‘পাগল’।

সম্মানিত অতিথিদের উপস্থিতি

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সংস্কৃতি সচিব মফিদুর রহমান, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন, এবং জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক তানজিম ইবনে ওয়াহাবসহ সংস্কৃতি অঙ্গনের বহু বিশিষ্টজন।

এই আয়োজনের মাধ্যমে লালনের মানবপ্রেম, সহনশীলতা ও ধর্মনিরপেক্ষ দর্শনকে নতুন প্রজন্মের কাছে আরও গভীরভাবে তুলে ধরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *