বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ অক্টোবর ২০২৪। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন সোমবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের গত ১ সেপ্টেম্বরের সভায়ও একই তারিখে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত সূচি
বিসিবি নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, তিনটি ক্যাটাগরিতে (ক্লাব, জেলা ক্রিকেট সংগঠন ও বিভাগ/সমিতি) কাউন্সিলরের নাম পাঠানোর জন্য ২ সেপ্টেম্বর চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
- ১৬ সেপ্টেম্বর: কাউন্সিলরের নাম পাঠানোর শেষ দিন।
- ২০ সেপ্টেম্বর: কাউন্সিলরের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ।
- ২১ সেপ্টেম্বর: দুপুর ১টা পর্যন্ত আপত্তি গ্রহণ, আর একই দিনে বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রকাশ পাবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
এরপর মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে—
- ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর: মনোনয়নপত্র বিক্রি।
- ২৫ সেপ্টেম্বর: প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদান।
- ২৬ সেপ্টেম্বর: বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ।
- ২৭ সেপ্টেম্বর: মনোনয়নপত্র বাতিল বা গৃহীত সংক্রান্ত আপিল ও শুনানি।
- ২৮ সেপ্টেম্বর: প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়।
শেষ ধাপে—
- ৪ অক্টোবর: ভোটগ্রহণ ও প্রাথমিক ফল প্রকাশ।
- ৫ অক্টোবর: আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা।
নির্বাচনকে ঘিরে প্রত্যাশা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন সবসময়ই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকে। প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী ও ক্রিকেট সংগঠকদের মধ্যে বোর্ডের পদগুলো নিয়ে থাকে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ আগামী চার বছরের জন্য বিসিবি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। ফলে দেশীয় ক্রিকেটের উন্নয়ন, অবকাঠামো বিনিয়োগ, ঘরোয়া লিগের সংস্কার ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ এই নির্বাচনের পর নতুন নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করবে।
আগামী ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বিসিবি নির্বাচনকে ঘিরে আগে থেকেই জল্পনা–কল্পনা শুরু হয়েছে ক্রিকেট মহলে। কারা মনোনয়ন তুলবেন, কারা শেষ পর্যন্ত প্রার্থী থাকবেন, এবং কোন শিবির বোর্ড পরিচালনায় প্রভাব বিস্তার করবেন—এখন নজর সেদিকেই।
ফল ঘোষণার পর ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন নেতৃত্ব পাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।










