ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ সম্প্রতি নতুন অভিবাসন নীতি ঘোষণা করেছেন, যা দেশের স্থায়ী বসবাসের জন্য নিয়মকানুনকে আরও কঠোর করবে। লেবার পার্টির লিভারপুল সম্মেলনে তিনি নিজেকে ‘কঠোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, ব্রিটেনের স্থায়ী নাগরিক হতে হলে অভিবাসীদের অবশ্যই উচ্চ মানের ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করতে হবে, অপরাধমুক্ত থাকতে হবে এবং কমিউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, চাকরির পাশাপাশি জাতীয় বিমায় অর্থ প্রদান এবং সামাজিক সুবিধার ওপর নির্ভরশীল না থাকা অবশ্যক। শাবানা মাহমুদ বলেন, “আমার কিছু সিদ্ধান্ত লেবারের ভেতরে সমর্থিত নাও হতে পারে, তবে আমি ব্রিটেনের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ ও ভিশনের জন্য এগোচ্ছি।”
প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারও অভিবাসন নীতি নিয়ে মত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের নির্বাসন করলে দেশ বিভক্ত হয়ে যাবে এবং এমন পরিকল্পনা বর্ণবাদী ও অনৈতিক।
তবে নতুন নীতির সমালোচনাও শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান এনভার সলোমন বলেন, “শর্তগুলো শরণার্থীদের অন্তর্ভুক্তি নয়, বরং তাদের জন্য বাধা সৃষ্টি করবে। অনেক শরণার্থী চিকিৎসক, উদ্যোক্তা বা শিক্ষাজগতে অবদান রেখেছেন, যা প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রীয় সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল।” প্র্যাক্সিসের প্রধান মিনিই রহমান মন্তব্য করেছেন, এই নীতি সমাজে শ্রেণিবিভাজন সৃষ্টি করবে এবং স্বেচ্ছাসেবাকে বাধ্যতামূলক করা বৈষম্য বাড়াবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, স্থায়ী বসবাসের জন্য অপেক্ষার সময় ৫ বছর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১০ বছরে দাঁড়াতে পারে। সরকার শিগগিরই পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু করবে, বিশেষ করে অতীতে ভাতা বা সুবিধা নেওয়া অভিবাসীদের ক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
শাবানা মাহমুদ তার বক্তব্যে দেশপ্রেমকে ইতিবাচক শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ও ন্যায্য অভিবাসন নীতিকে সহনশীল ব্রিটেনের জন্য অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেছেন।











