বিশ্বজুড়ে খবর, এক ক্লিকেই

October 29, 2025 8:23 pm
October 29, 2025 8:23 pm

বিএসটিআইর অযৌক্তিক ফি: ক্ষতির মুখে উদ্যোক্তারা

বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমেই দরকার হয় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) লাইসেন্স। এর জন্য আবেদন ফি, টেস্ট ফি সহ নানা খাতে টাকা দিতে হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীদের জন্য সবচেয়ে বড় চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘সার্টিফিকেশন মার্ক ফি’, যা প্রতি বছর পণ্যের উৎপাদন ও বিক্রির ওপর ভিত্তি করে আদায় করা হয়।

অনেক উদ্যোক্তার অভিযোগ, লাইসেন্স নিতে গিয়ে তারা নানা রকম ঘুষ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এত বেশি ফি দেওয়ার ফলে বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়ছেন। কেউ কেউ বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসা গুটিয়ে নিতে। এর ফলে শুধু উদ্যোক্তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, দেশের রপ্তানি বহুমুখীকরণও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিভিন্ন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, বিএসটিআই নানা কৌশলে অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে। এসব ফি অযৌক্তিকভাবে বেশি, এবং বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের ওপর চাপানো ফি অস্বাভাবিক রকমের ভারী।

উদাহরণস্বরূপ, লাইসেন্স নেওয়ার সময় আবেদন ফি বাবদ ১,০০০ টাকা দিতে হয়। কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য এত টাকা নেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন উদ্যোক্তারা। এরপর টেস্ট ফি হিসেবে পণ্যের ধরন অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।

আরও সমস্যার বিষয় হলো, একই ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ক্যাটাগরি ও সাইজের প্রতিটি পণ্যের জন্য আলাদা লাইসেন্স নিতে হয়। যেমন—বিস্কুট মিষ্টি হলে আলাদা লাইসেন্স, নোনতা হলে আলাদা, আবার সাইজ ১০০ গ্রাম, ২৫০ গ্রাম, ৫০০ গ্রাম হলে প্রতিটির জন্য আলাদা ফি। ফলে একেকটি কোম্পানির জন্য একেকটি পণ্যের লাইসেন্স খরচ দাঁড়াচ্ছে বিশাল অঙ্কে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এত ফি দেওয়ার কারণে ব্যবসা সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে না। আবার বিদেশে রপ্তানি করতে গেলে অন্য কোনো দেশে এমন ধরনের ফি দিতে হয় না। এজন্য বহুদিন ধরে উদ্যোক্তারা ফি কমানো বা সমন্বয়ের দাবি জানিয়ে আসছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *