অনেকে ভাবেন, পুষ্টিকর খাবার মানেই দামি, বিরল ফল, অদ্ভুত সব সুপারফুড খেতেই হবে। কিন্তু বাস্তবে এমন নয়। প্রতিদিনের সাধারণ খাবার নিয়ন্ত্রণ করে ওজন কমানো এবং সুস্থ থাকা যায়। ডায়েট মানে নিজেকে না খাইয়ে কষ্ট দেওয়া নয়, বরং সঠিক ও পরিমিত খাবার নির্বাচন।
ফল:
প্রতিদিন একটি করে মৌসুমী ফল খাওয়া স্বাভাবিক, সুস্থতার জন্য জরুরি। বাজারে যে সহজলভ্য ফল পাওয়া যায়, সেগুলোর মধ্য দিয়েও পুষ্টির চাহিদা পূরণ সম্ভব। বিশেষ ফল খাওয়া বাধ্যতামূলক নয়; কিউই বা অ্যাভোকাডো ছাড়া বাকি ফলগুলোও পর্যাপ্ত।
ডিম:
প্রতিদিন ডিম গ্রহণ করতে পারেন। তবে প্রতিদিন কয়টি খাওয়া যায় বা ডিমের কুসুম খাওয়া উচিত কি না—এটা নির্ধারণ করবেন পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী।
দুধ:
দৈনন্দিন জীবনে দুধ অপরিহার্য। দুধে আছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন যা স্বাস্থ্য বজায় রাখে। দুধ পছন্দ না হলে বিকল্প হিসেবে দই রাখতে পারেন।
ভাত ও রুটি:
ভাত বা রুটি একেবারে বাদ দেওয়ার দরকার নেই। ডায়েট মানে খাদ্য বর্জন নয়; পরিমিতভাবে ভাত বা রুটি খাওয়া যেতে পারে। নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে ডালের সঙ্গে ভাত বা রুটির সংমিশ্রণ রাখতে হবে, যা প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য বজায় রাখে।
সুতরাং, ডায়েট মানেই বিলাসী খাবার নয়। সাধারণ, সহজলভ্য, মৌসুমী খাবার নিয়েও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সম্ভব। নিজের শরীর ও খরচ উভয়কেই সমন্বয় করে খাওয়াই সঠিক ডায়েটের মূল চাবিকাঠি।











